যেসকল বাক্যে শর্ত ও তার জবাব থাকে তাকে শর্তযুক্ত বাক্য বলে। যেমন, أَذْهَبْ تَذْهَبْ إِنْ যদি তুমি যাও আমি যাবো। শর্তযুক্ত বাক্যের সাধারন গঠনঃ
فِعْلُ الشَّرْطِ + جَوَابُ الشَّرْط + أَدْوٰتُ الشَّرْطِ
|
جَوَابُ الشَّرْطِ |
فِعْلُ الشَّرْطِ |
أَدْوٰتُ الشَّرْطِ |
যদি তুমি যাও আমি যাব |
أَذْهَبْ |
تَذْهَبْ |
إِنْ |
যখন খালিদকে দেখবে তাকে জিজ্ঞাসা করবে |
فَاسْأَلْهُ |
رَأَيْتَ خَالِدًا |
إِذَا |
যখন তুমি সফর করবে আমি করব |
أُسَافِرْ |
تُسَافِرْ |
مَتَى |
أَدْوٰتُ الشَّرْطِ দুই প্রকার।
১) غَيْرُ جَازِمٍ অর্থাৎ যা এর পরবর্তী ক্রিয়াকে মাজ্জুম করে না। এদের মধ্যে আছে, لَوْ এবং إِذَا
২) جَازِمٌ অর্থাৎ এরা এর পরবর্তী فِعْلُ الشَّرْطِ ও جَوَابُ الشَّرْطِ কে মাজ্জুম করে। এদের মধ্যে আছে إِنْ , مَنْ , أَيْنَ , مَا , مَتَى , أَيُّ , مَهْمَا
এবং যদি আল্লহ চাইতেন তারা পরস্পর যুদ্ধ করত না |
وَلَوْ شَاءَ اللَّـهُ مَا اقْتَتَلُوا |
যদি |
لَوْ |
যদি তুমি যাও আমি যাব |
إِنْ تَذْهَبْ أَذْهَبْ |
যদি |
إِنْ |
সুতরাং যে অণু পরিমান ভালো করবে তা দেখতে পাবে |
فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ |
যে কিনা |
مَنْ |
এবং যা কিছু ভালো তোমরা কর আল্লাহ তা জানেন |
وَ مَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ الله |
যা কিনা |
مَا |
যখনই তুমি সফর করবে আমি করব |
مَتَى تُسَافِرْ أُسَافِرْ |
যখনই |
مَتَى |
যেখানেই তুমি থাকবে আমি থাকব |
أَيْنَ تَسْكُنْ أَسْكُنْ |
যেখানেই |
أَيْنَ |
যে বই-ই আমি লাইব্রেরীতে পাই তা পড়ব |
أَيَّ كِتَابٍ أَجِدْ فِي الْمَكْتَبَةِ أَقْرَأْهُ |
যেটি |
أَيُّ |
তুমি যাই বল আমরা তোমাকে সত্যায়ন করব |
مَهْمَا تَقُلْ نُصَدِّقْكَ |
যাই হোক |
مَهْمَا |
جَوَابٌ গুলো কয়েকটি ক্ষেত্রে فَ গ্রহণ করে, এই فَ কে فَاءُ الرَّابِطَةِ বলে। সেক্ষেত্রে মুদারি মাজ্জুম হবেনা। এদের কিছু হলো,
যখন جَوَابُ الشَّرْطِ নামপ্রধান বাক্য হয় |
إِذَا اجْتَهَدْتَ فَالنَّجَاحُ مَضْمُوْنٌ যদি তুমি কঠোর পরিশ্রম কর তাহলে পাস নিশ্চিত |
যদি جَوَابُ الشَّرْطِ আদেশ, নিষেধ বা প্রশ্ন হয় |
إِذَا رَأَيْتَ حَامِدًا فَاسْأَلْهُ عَنْ الْسَّفَرِ |
|
এবং যদি তুমি হামিদকে দেখ তাকে সফর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে |
যদি جَوَابُ الشَّرْطِ যামিদ ক্রিয়া হয়। |
مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَا مِنَّا যে ধোকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় |
যদি جَوَابُ الشَّرْطِ এর ক্রিয়ার পূর্বে قَدْ থাকে |
وَ مَنْ يُطِعِ اللهَ وَ رَسُوْلَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمَا |
|
এবং যে আল্লাহ ও তার রসুলকে অনুসরণ করবে সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে |
কুরানীয় উদাহরণঃ
যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন |
إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ |
তোমরা যদি মীমাংসা কামনা কর, তাহলে তোমাদের নিকট মীমাংসা পৌছে গেছে |
إِن تَسْتَفْتِحُوا فَقَدْ جَاءَكُمُ الْفَتْحُ ۖ |
যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব |
لَئِن لَّمْ تَنتَهِ لَأَرْجُمَنَّكَ ۖ |
আর আমি যা আদেশ দেই, সে যদি তা না করে, তবে অবশ্যই সে কারাগারে প্রেরিত হবে |
وَلَئِن لَّمْ يَفْعَلْ مَا آمُرُهُ لَيُسْجَنَنَّ |
আর তোমার পালনকর্তা যদি ইচ্ছা করতেন, তবে অবশ্যই সব মানুষকে একই জাতি করতেন |
وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ لَجَعَلَ النَّاسَ أُمَّةً وَاحِدَةً ۖ |
তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। |
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ ۗ |
বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। |
وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِ اللَّهِ |
আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, |
وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِكَ |
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে |
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ |
আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। |
وَمَن يَكْفُرْ بِهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ |
যে মন্দ কাজ করবে, তাকে তার শাস্তি দেওয়া হবে। |
مَن يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ |
যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে |
وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ يَلْقَ أَثَامًا |
আর তারা বললো আমাদের উপর জাদু করার জন্য তুমি যে নিদর্শনই নিয়ে আস না কেন |
وَقَالُوا مَهْمَا تَأْتِنَا بِهِ مِنْ آيَةٍ لِّتَسْحَرَنَا بِهَا |
কোর্স বিষয়বস্তু