يَا , أَيَا , هَيَا , أَ , أَيْ ইত্যাদি হারফগুলো কাউকে ডাকার জন্য ব্যবহৃত হয়। এদেরকে حَرْفُ النِّدَاءِ বলে। যাকে ডাকা হয় তাকে বলা হয় مُنَادًى । এদের মধ্যে أَيَا , هَيَا কাছের কাউকে ডাকার জন্য আর أَ , أَيْ দূরের কাউকে দাকার জন্য । يَا কাছে দূরে উভয়ের জন্য ।
হারফু নিদার পর মুনাদা নির্দিষ্ট হলে মারফু অবস্থায় থাকে এবং শেষে তানভীন হয় না।
হে আল্লাহ! |
يَا اللهُ, أَي اللهُ |
হে ওস্তায! |
يَا أُسْتَاذُ |
হে আমিনাহ! |
يَا آمِنَةُ |
হে মারইয়াম! |
يَا مَرْيَمُ |
যদি মুনাদা مُضَافٌ থাকে কিংবা তা দ্বারা কোন বিষয়ের সাথে সংযুক্ত অনির্দিষ্ট কাউকে ডাকা হয় তাহলে তা মানসুব হয়।
হে বিশ্বজগতের প্রতিপালক! |
يَا رَبَّ الْعٰلَمِيْنِ |
মুদাফকে ডাকা |
হে লেবাননের পথযাত্রী! |
يَا مُسَافِرًا إلَى لُبْنَانَ |
কোন বিষয়ের সাথে সংযুক্ত অনির্দিষ্ট কাউকে ডাকা |
হে ছাত্র! বেশি করে পড়! |
يَا طَالِبًا أُدْرُسْ كَثِيْرًا |
সাধারণভাবে অনির্দিষ্ট সকলকে ডাকা |
আবার يَا এর পরে اَلْ বিশিষ্ট পুরুষবাচক اِسْمٌ আসলে اَيُّهَا এবংاَلْ বিশিষ্ট স্ত্রীবাচক اِسْمٌ আসলে اَيَّتُهَا যোগ করতে হয়। এছাড়া উপযুক্ত ইসমুল ইশারাও আসতে পারে। যেমন
হে মুমিনগণ! |
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا |
اَلْ বিশিষ্ট কাউকে ডাকা
|
হে প্রশান্ত মন! |
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ |
|
ওহে লোক! |
يَا هَذَا الرَّجُلُ |
লক্ষ্যনীয় কয়েকটি বিষয়ঃ
১। অনেক সময় يَا এর পর ইয়ামুতাকাল্লিম উঠে যায়। যেমনঃ يَا أَبَتِ হে আমার বাবা
২। আবার কখনও يَا উঠে যায়। যেমন قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا
৩। আল্লাহকে ডাকতে অনেক সময় يَا এর বদলে مَّ যুক্ত হয়। যেমনঃ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ
৪। মুনাদা যদি ي ইয়া মুতাকাল্লিম এর সাথে থাকে তবে এর অনেকগুলো গঠন আছে। যেমনঃ
يَا رَبِّي، يَا رَبِّ، يَا رَبِّيَ، يَا رَبَّ আবার يَا رَبَّا এটা শেষে ه নেয় يَا رَبَّاهْ
কোর্স বিষয়বস্তু