বন্ধুরা আরবী ব্যকরণের সবচেয়ে মজার অধ্যায় ক্রিয়া জগতে আপনাদের স্বাগতম। আরবীতে ক্রিয়াপদ অনেকটা গণিতের সুত্রের মত সহজ কিছু সুত্র মেনে চলে। আমরা চেষ্টা করব এমন কিছু টেকনিক এপ্লাই করতে যাতে আমাদের এই সুত্রগুলো স্রেফ মুখস্থ করার কষ্ট না হয়ে উপভোগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আসুন প্রথমেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়ার সাথে পরিচিত হই।
কাল অনুযায়ী ক্রিয়া দুই প্রকারঃ
ক) اَلْفِعْلُ الْمَاضِي অতীত কালের ক্রিয়া। যেমনঃ ذَهَبَ সে গেল
খ) الفِعْلُ الْمُضَارِعُবর্তমান/ভবিষ্যত কালের ক্রিয়া। যেমনঃ يَذْهَبُ সে যায়/যাবে
কর্তার অবস্থা অনুযায়ী ক্রিয়া দুই প্রকারঃ
ক) الفِعْلُ الْمَعْرُوفُ কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়া যেখানে কর্তা উল্লেখিত। যেমনঃ نَصَرَ সে সাহায্য করলো। এখানে কর্তা ‘সে’।
খ) الفِعْلُ الْمَجْهُولُকর্মবাচ্যের ক্রিয়া যেখানে কর্তা উল্লেখিত হয়নি। যেমনঃ نُصِرَ তাকে সাহায্য করা হয়েছে। কিন্তু কে করেছে তা উল্লেখ নাই।
কর্মের অবস্থা অনুযায়ী ক্রিয়া দুই প্রকারঃ
ক) اَلْفِعْلُ الَّازِمُ অকর্মক ক্রিয়া। ক্রিয়ার কর্ম নাই। যেমনঃ جَلَسَ সে বসলো।
খ) الْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي সকর্মক ক্রিয়া। ক্রিয়ার কর্ম আছে। যেমনঃ أَكَلَ সে খেয়েছে।
এই অধ্যায়ে আমরা কেবল অতীত কালের ক্রিয়া الفِعْلُ المَاضِي দেখবো ইন শা আল্লাহ।
الفِعْلُ المَاضِي অতীত কালের ক্রিয়া
তিন অক্ষর বিশিষ্ট الفِعْلُ المَاضِي -এর সাধারন গঠন হলঃ فَعَلَ فَعُلَ، فَعِلَ، । অক্ষর তিনটিকে যথাক্রমে ف কালিমা, ع কালিমা এবং ل কালিমা বলা হয়। আমরা খেয়াল করি যে ف এবং ل কালিমায় সর্বদা যবর হবে কিন্তু ع কালিমায় যবর, যের বা পেশ হতে পারে। আমরা নিচে কিছু উদাহরণ দেখি,
|
فَعُلَ |
|
فَعِلَ |
|
فَعَلَ |
সে করুনা করল |
كَرُمَ |
সে শুনল |
سَمِعَ |
সে সাহায্য করল |
نَصَرَ |
সে বড় হল |
كَبُرَ |
সে ভাবল |
حَسِبَ |
সে প্রহার করল |
ضَربَ |
সে ছোট হল |
صَغُرَ |
সে করল |
عَمِلَ |
সে লিখল |
كَتَبَ |
সে সহজ হল |
سَهُلَ |
সে শিখল |
عَلِمَ |
সে পাঠ করল |
دَرَسَ |
সে কঠিন হল |
صَعُبَ |
সে বুঝল |
فَهِمَ |
সে পাঠালো |
بَعَثَ |
যখন কোন বাক্য فِعْلٌ দিয়ে শুরু হয় তখন তাকে اَلْجُمْلَةُ الفِعْلِيَّةُ বলে। এর মৌলিক দুইটি অংশ। فِعْلٌ ক্রিয়া (verb) ও فَاعِلٌ কর্তা (Doer)।
فَاعِلٌ |
فِعْلٌ |
|
خَالِدٌ |
خَرَجَ |
খালিদ বের হলো |
فِعْلٌ (ক্রিয়ার) সাথে সর্বদা فَاعِلٌ (কর্তা) থাকবে। সেটা উপরোক্ত উদাহরণের মত প্রকাশ্য ইসম বা সর্বনাম হতে পারে আবার তা গোপন বা উহ্য থাকতে পারে। যেমন আপনারা খেয়াল করবেন যে উপরোক্ত চার্টের প্রতিটা ক্রিয়ার সাথে তার কর্তা “সে” هُوَ উল্লেখ করা হয়েছে যদিও ক্রিয়াপদের সাথে তাকে দেখা যাচ্ছে না।
নিচের আমরা অতীত কালের কিছু ক্রিয়ার ব্যবহার দেখি।
فَاعِلٌ |
فِعْلٌ |
আরবী |
বাংলা |
نَاصِرٌ |
نَصَرَ |
نَصَرَ نَاصِرٌ |
নাসির সাহায্য করলো |
هُوَ |
سَمِعَ |
سَمِعَ |
সে শুনলো |
بِلَالٌ |
عَلِمَ |
عَلِمَ بِلَالٌ |
বেলাল শিখল |
اِبْرَاهِمُ |
حَمِدَ |
حَمِدَ اِبْرَاهِمُ |
ইব্রাহিম প্রশংসা করল |
حَامِدٌ |
ذَهَبَ |
ذَهَبَ حَامِدٌ إلَى السُّوقِ |
হামিদ বাজারে গেল |
و= هُمْ |
رَجَعُوا |
رَجَعُوا مِنْ دَاكَّا أَمْسِ |
সে গতকাল ঢাকা থেকে ফিরে আসলো |
خَالِدٌ |
جَلَسَ |
جَلَسَ خَالِدٌ مَعِي |
খালিদ আমার সাথে বসলো |
الطَّالِبُ |
ذَهَبَ |
ذَهَبَ الطَّالِبُ إلى الْمَكْتَبَةِ |
ছাত্রটি লাইব্রেরীতে গেল |
ক্রিয়ার কর্ম থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। কর্ম থাকা না থাকার উপর ভিত্তি করে ক্রিয়াকে দুটি ভাগ করা হয়েছে,
হামিদ বাজারের দিকে গেল |
ذَهَبَ حَامِدٌ إِلَى السُّوْقِ |
الْفِعْلُ الَّازِمُ অকর্মক ক্রিয়া فِعْلٌ + فَاعِلٌ |
মুহাম্মাদ আমার সাথে বসল |
جَلَسَ مُحَمَّدٌ مَعِي |
|
বেলাল মসজিদ থেকে বের হল |
خَرَجَ بِلَالٌ مِنَ الْمَسْجِدِ |
মুহাম্মাদ কুরআন পড়ল |
قَرَأَ مُحَمَّدٌ الْقُرْآنَ |
الْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي সকর্মক ক্রিয়া فِعْلٌ + فَاعِلٌ + مَفْعُوْلٌ بِهِ |
হামিদ দরজাটি খুলল |
فَتَحَ حَامِدٌ الْبَابَ |
|
আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন |
خَلَقَ اللهُ كُلَّ شَيْءٍ |
فِعْلٌ لَازِمٌ এর সাথে অব্যয় যোগে ফেলে মুতায়াদ্দি বানানো যায়। যেমনঃ ذَهَبَ গেলো, ذَهَبَ بِ নিয়ে গেলো।
কোর্স বিষয়বস্তু